Blogger Widgets

Wednesday, August 31, 2011

নীরব কবিতা- চন্দ্রানী পুরকায়স্থ (পিংকি )



নিঠুর ঝড়ের প্রলয় খেলায় ,
  ঝরে পড়ে সুখ পরীদের সামিয়ানা ,
  এ খেলাঘর ধুলিস্বাত।
স্বপ্নের জালগুলো জড়িয়ে পড়ে,
কাটা বনের গভীর  বেদনায় ।
পাখির ডানার মতন চোখে ,
 বৃষ্টিধারার স্পর্শ ।
 অথছ এখন আর ভাবায়  না,
মেঘলা দিনের অভিমান,
অশ্রু ভেজা আকাশ ।
নোনা জলের স্বাদ ,
 বয়ে চলে নীরবে ,
অনুভূতির অন্তঃ স্থলে খরস্রোতা নদীর মতন  ।
আবার গড়ব বালির মহল ,
 নোনা সাগরের তীর ঘেঁসে ।
 দেখি কত বার ভেসে যায় আমার,
 ক্ষনস্থায়ী স্বপ্ন মহল।
একদিন রেখে যাব পাথরের বুকে ,
ক্ষনিকের ইতিহাস ,
বুকের রক্তে দুটো নাম। 
মাছরাঙারা মুহুর্তের অবকাশে ,
করে যাবে কত কত কথকতা  ।
সূর্যাস্তের রক্তিম ভঙ্গিমায় ,
ঢেউ এ  ঢেউ এ ভালবাসার গান ।
সন্ধ্যার মৃদু আলোয়,
লিখে যাব নীরব কবিতা ,
তুমি ,আমি  আর স্নিগ্ধ  আকাশ..





Thursday, August 18, 2011

স্বাধীনতা - Independence




স্বাধীনতা - চন্দ্রানী পুরকায়স্থ (পিংকি)


তুমি জানো না, স্বাধীন দেশে  আজও আমরা পরাধীন ,
আজ ও শূন্য ভাতের থালা হাতে নিয়ে,
সুইস ব্যাঙ্কের খবর শুনি।
বড় বড় নেতার বড় বড় কেলেঙ্কারি,
কোটি কোটি টাকার হের- ফেরের খবরে,
জমে উঠে আলোচনার সম্ভার,
সেই চায়ের দোকানে, যেখানে কাজ করি আমি।
অথছ জানো হাজার টাকা একসাথে চোখে দেখিনি।
স্কুলে যাওয়ার বড্ড ইচ্ছা ছিল মনে,
তবু মনে হয় না,  কখনও যাওয়া হবে এ জীবনে।
বাবার মৃত্যু পর, রুগ্ন মা আর ছোট বোন কেয়া কে নিয়ে।
পুরো সংসার আমার, সাত বছরের জীবনেই,
দিয়েছি বিসর্জন আমার সব চাওয়া পাওয়ার।
তোমরা নাকি দিয়েছিলে নিজের প্রান,
আমাদের স্বাধীনতা এনে দিতে।
কিন্তু ভেবেছিলে কি কখনো ,
তোমার রক্তের বদলে আনা স্বাধীনতা,
রয়ে যাবে সীমাবদ্ধ সেই ধনীদের হাতে।
 আর বিচারের জন্য হাত বাড়ালে ,
আমার জন্য জালিয়ানওয়ালাবাগ গড়ে উঠে  মুহূর্তে।
আজ ও  সেই রামলীলা ময়দান ই হোক আর আন্নার সেই প্রতিবাদ,
আমাদের আহত করতে মুহূর্তের ভ্রূক্ষেপ নেই,
শাসকের মনে নেই মুহূর্তের দ্বিধা।
অথছ দুষ্কৃতেকারী ধনী পুত্রের তরে ও কত আয়োজন,

আপ্যায়নের বাহার। 
জানো, তোমার অভীষ্ট স্বাধীনতা থেকে আজ ও আমরা,
শত শত আলোকবর্ষ  দূরে।