Blogger Widgets

Thursday, June 30, 2011

Unconditional Love

 গুপ্ত প্রেম - চন্দ্রানী পুরকায়স্থ ( পিঙ্কি)
 আমার মেঘলা আকাশ তোমার স্পর্শে হয়ে উঠে উজ্জ্বল,
শত কাজের ভিড়েও তোমার অস্তিতের অনভুতি শিহরণ জাগায়।
দুরত্ব আর অন্তরায় হয়ে উঠতে পারে না,
বৃষ্টি হচ্ছে বাইরে, তবু বিরহের চিহ্ন মাত্র নেই। তোমাকে খুঁজে পাই চোখের পাতায়,
অন্তরের খাঁজে খাঁজে তোমার উপস্থিতি। 

কখনও বলা হয় নি তোমাকে,হয় তো বলার প্রয়োজন ও নেই।
নেই কোনও প্রত্যাশা,পাওয়ার খুশী, হারানোর ভয়, 
কল্পনার আকাশে দেখা হয় প্রতিবার,
যেখানে শুধু তুমি আমি পাশাপাশি,
সারারাত তারা গুনি।
জানি আকাশ আর পৃথিবীর মাঝে দুরত্ব গভীর ,
তবে তারই সাথে  আছে দিগন্তের উপস্থিতি।

Tuesday, June 14, 2011

Dust beauty

সন্ধ্যালক্ষ্মী
পিংকি পুরকায়স্থ (চন্দ্রানী)
 সবুজ প্রান্তরের ওপারে, সন্ধ্যালক্ষ্মী হাত বাড়ায়,

হাওরের বুকে টলমল করে দুঃখিনী বেহুলার অশ্রুজল,

মাটির প্রেমে নীল আকাশ লাজে রাঙা ষোড়শী কিশোরী,

সাঁঝের আকাশ জুড়ে টুকরো মেঘের বর্ণমালা,

হারিয়ে যাই তেপান্তরের দেশে...।


dusk

সন্ধ্যা
 পিংকি পুরকায়স্থ (চন্দ্রানী)
 রূপকথা মেশানো সন্ধ্যায়,
আলোছায়া কবিতা লিখে দিগন্তের ওপারে।
ঘাঁস ফড়িঙের পাখায় পাখায়,
সন্ধ্যার অবকাশের চিহ্ন।
মন্দিরের ঘণ্টাধ্বনি, ধূপ-ধুনোর সুগন্ধ,
কালিদাসের মহাকাল মন্দিরের পথ বেয়ে,
বরাকের আঙিনায়।
মালবিকারা তুলসী তলায়,
মমতার মাধুরীতে সিক্ত মাটির প্রদীপ হাতে।
আঁধারের গায়ে গায়ে , মিটমিটে আলোর রেখা ,
মোহনীয় ছবি এঁকে যায়।।
 

ode to deity of love

দেখেছি তোমায়

পিংকি পুরকায়স্থ (চন্দ্রানী)

তোমায় দেখেছি ইতিহাসের পাতায় পাতায়,
কখনও কৈলাশে তো কখনও সুদুর আরবে। 
কখনও রাজার অট্টালিকায়;তো কখনও ঋষির কুটীরে,
সারা জগত জুড়ে দেখেছি তোমায়।।
মানুষ নয় শুধু পশু-পাখী কীট-পতঙ্গদের সমাজে ও...
তুমি নাকি অনঙ্গ, প্রেমের দেবতা,
শিবের তৃতীয় নয়নবহ্নি তে ভস্মীভূত,
দেখেছি তোমায় ষোড়শী কিশোরীর
সলজ্জ হাসিতে,
বীর পুরুষের দুচোখে ,প্রেমের যুদ্ধে
দেখেছি সয়ম্বর সভায়।।
 দেখেছি তোমার ছায়া তাজমহলের স্ফটিকস্তম্ভের গায়ে গায়ে,
বৃন্দাবনের তমাল ছায়ে; দেখেছি মীরার অশ্রুজলে,
প্রেয়সী রাধিকার বিরহদশায়, 
দেখেছি তোমায়।। 
দেখেছি ব্যাভিচারের কলঙ্কে, দেখেছি পবিত্র প্রেমের উজ্জ্বলশিখায়,
দেখেছি প্রিয়, দেখেছি তোমায়...

night of poems

কবিতার রাত
পিংকি পুরকায়স্থ

শান্তির স্বপ্ন ঘেরা রাত,
দুচোখের পলক করে নেয় অধিকার,
ঘুমপাড়ানি মাসী-পিসীর স্নিগ্ধ কোমল স্পর্শ ।
ঘুম মাঝি পাল তুলে নিয়ে যায় অচেনা ভুবনের দুয়ারে।
বাস্তবের জগত থেকে বহুদূরে কল্পনার আল্পনা আঁকি,
কবিতায় তুমি আমি কাছাকাছি।

Sunday, June 12, 2011

celebrity

সেলিব্রিটি
  পিংকি পুরকায়স্থ(চন্দ্রানী)

হাইটেক জীবনে অভ্যস্ত তুমি,
মিডিয়ার ভাষায় হার্টথ্রব,
দেয়ালে দেয়ালে তো্মার রঙিন ছবি,
কত ষোড়শী কিশো্রীর স্বপ্ন তোমাকে ঘিরে।
কত কত পাঠ্যবইয়ের পাতায়,
লুকিয়ে থাকো এক মুহূর্তের স্বস্তির হাওয়া হয়ে।
কত খাতার মলাট তোমার ছবিতে ভরাট হয়ে উঠে।
গুগলের পাতায় পাতায় তোমার খোঁজ পড়ে প্রতিদিন,
প্রতিদিন ফেসবুকের পাতায় চলে তোমার সন্ধান।
এক মুহূর্তের দর্শনাশায় ,
হাজার লোকের ভিড় উপছে পড়ে।
একটি অটোগ্রাফের লোভে,
পুলিশের লাঠির আঘাতে ও নির্বিকার।
কত ভালোবাসা তোমার জন্যে।
কিন্ত তবুও অবকাশ মুহূর্তে তোমার দুচোখে,
খুঁজে পাই ব্যাকুলতার সাগর,
গোধূলির অস্তগামী সূর্যের চেয়েও করুণ।
তোমার দীর্ঘনিশ্বাস চারদিকের আবহাওয়া কে করে তুলে নিথর।
তোমার কথার পঙক্তিতে পঙক্তিতে খোঁজে পাই,
জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণা ,
থকথকে আঘাতের চিহ্ন হৃদয় জুড়ে।
চারিদিকে জনতার ভিড় তোমাকে ঘিরে,
তবু অন্ধকারের প্রতি ভয়,
নিজের ছায়াকে দেখে নিজেই আৎকে উঠো।
একবিন্দু মমতা মাখানো একটি মন কি খুঁজে পাওনা,
হাজার জনতার ভিড়ে,
যে তোমার পরিচয় কে নয়,
শুধু তোমাকেই আপন করে নিতে পারে।
যে ঝিনুকের আবরনে লুকিয়ে থাকা,
আমুল্য মুক্তোটিকে কুড়িয়ে নিতে পারে,
তাই বুঝি সেলিব্রিটির তকমা ছুঁড়ে ফেলে ছুটে বেড়াতে চাও,
গ্রামের মেঠো পথ ধরে,
কখনও বা ফিরে যেতে চাও শৈশবের সেই দুপুরগুলোতে,
মায়ের স্নিগ্ধ আঁচল ছায়ে, পিতার স্নেহের শাসনে,
কিন্ত সেই দিনগুলো আর ফিরে আসে না জীবনে।
নিজের কাছে পরাজিত হও বার বার,
তবু এগিয়ে যাও ব্যথাসিক্ত মনটাকে শাসন করে,
সোনার মন্দিরে পাথরের দেবতার মতন,
সেলিব্রিটির তকমা নিয়ে।।