Blogger Widgets

Monday, June 3, 2013

একটি প্রেমের কবিতাঃ পিংকি পুরকায়স্থ চন্দ্রানী

 

নামহীন কোনো এক বাউল ,
সেই কবে ,শুষ্ক মাটির বুকে এঁকে দিয়ে গেছে;
চোখের জলের আল্পনা!
ঠিক সেখানে,যেখানে আলোছায়া মাখামাখি;
দেখা হয়েছিল কালকেতু ফুল্লরার।
যেখানে খুল্লনা নিবু-নিবু তেলের কুপি হাতে,
পরম মমতায় খুঁজেছিল বহুকাল ধরে,
সেই ছাগ শিশুটিকে।
গোধূলি বেলার শেষ প্রান্তে যখন,
কালো হয়ে আসে জলবহরের ছায়া,
কালিদাসের শিপ্রাকে ছাপিয়ে যায়,
বেহুলার গণ্ডকী ।
সেই অবেলায় বিদ্যা –সুন্দর পাড়ি দেয়,
জ্যোৎস্না মাখা লাল পাহাড়ের দেশে।
যেখানে নীরস পাথরের বুক ভেদ করে,
ঝমঝম ঝরনা রুকনি- টুকনি,
ভেলা ভাসায় সিধু কানুর নামে।
ঘুম-ঘুম রাতের স্বপ্ন ঘিরে, মন কেমন করা;
কুলুকুলু রূপসা, রজকিনী।
রাধার বুক চেরা ভালবাসা,
নিমাইয়ের প্রানের দোতারায় ।

Friday, May 31, 2013

খেলা- পিংকি পুরকায়স্থ চন্দ্রানী



যে তোকে ভয় পায়,
সে আমি নই।
তাই তো বিদ্যুৎ হয়ে জেগে উঠি বারবার,
তোরই বুকের গভীরে।
ভয় মানে যদি হয় রুদ্রের জটাজাল,
কুলুকুলু গঙ্গা হয়ে বয়ে চলি,
সাগরের টানে।
অথবা চাঁদের মতন জ্বলে উঠি ,
আঁধারের দিনগুনা শেষে।
আসলে তোর আমার এই খেলা চিরদিনের,
জন্ম জন্মান্তরের,
তবু জয় আমারই ,
কারণ আমি বেঁচে থাকি,
এই খেলাকে আঁকড়ে ধরে ।

Sunday, May 19, 2013

লহ প্রনাম-পিংকি পুরকায়স্থ চন্দ্রানী

বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়েছে আজ ভোরের আহুতি,
মেঠো পথে থৈ থৈ আলপনা।
তুমি মিশে গেছ ঈশানের হাওয়ায় হাওয়ায়,
রেখে গেছ ঠিকানা সদ্য মা বলতে শেখা শিশুর,
আধফোঁটা বুলিতে।
উনিশের প্রহরী,মৃত্যুজয়ী শহীদ,
লহ প্রনাম, ১৯শের দৃপ্ত মিছিলে,
মাতৃভাষা চতুর্থাক্ষরী মন্ত্রের ,
গম্ভীর সামগানে।