Blogger Widgets

Monday, June 18, 2012

মেঘদূত

একফোঁটা বৃষ্টির জল, আলতো ছোঁয়ায় মুগ্ধ চিবুকে।
জীবনের স্বাদ লেগে থাকে চাতকের ঠোঁটের কিনারায়।
চাঁদের টেবিলে মাথা রেখে, রাত জাগা গন্ধরাজ;
ঝরা পাতার শোকে জন্ম নেয় কবিতারা ।
আলোকবর্ষ দূরের কাহিনী,
আবর্তিত নটরাজের মালার স্পন্দনে।
অলকাপুরির শ্যাওলাময় দেওয়ালে , আবছা ছায়া;
জোনাকির আলোয় না বলা কাহিনী,
 হাল্কা শিহরন পিয়ালের বনে।
শিপ্রার ভিজে আঁচলে হিজলের মাখামাখি ,  
“আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে” কালিদাসের মেঘদূত,
ঝরে পড়ে মাছরাঙ্গার রঙিন পালকে।

Tuesday, June 12, 2012

ঝড়- পিংকি পুরকায়স্থ চন্দ্রানী

 তুমিই তো বলেছিলে , সাথে থাকবো সুখে দুঃখে,
সূর্যোদয়ের সূর্যমুখী , আর অমানিশার একমুঠো জোনাকি হয়ে।
তুমিই তো বলেছিলে, আকাশের বুকে লিখে যাব নাম ,
তোমার আমার,মেঘের সাজে।
অথবা বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ব,
সুন্দরের আবাহনে।
মনে পড়ে তোমার? আমার সবুজ আঁচল ভরে দিয়েছিলে,
কনক চাঁপা উপহারে।
অবেলায় গেয়েছিলে মল্লার গীতি।
কাটাকুটির ছলে, লিখে ছিলে নিজের নাম,
কাঠমল্লিকার বুকে।
যা প্রজাপতি হয়ে উড়ে গিয়েছিল,
দখিনের জানালায়।
একফোঁটা শিশির হয়ে লিখেছিল কবিতা,
চোখের পাতার আধফোটা কুঁড়িতে।
শতচ্ছিন্ন সেই প্রেমের কবিতা,রাখালিয়া বাঁশী,
ভেসে গেছে সেদিন, কাল বৈশাখী ঝড়ে।
রয়ে গেছে
 শুধু  সবুজের ইতিহাস,
দুটো উপড়ে যাওয়া বটগাছের নিষ্প্রাণ দেহ।

Thursday, May 17, 2012

ভোর কি আদৌ হবে????

চোখের জলে জন্ম তার, নাম সুরধনী,
যুগ যুগ ধরে বয়ে চলা , পাপের এন্টিসেপ্টিক হাতে।
না, পাপ তোমার কমেনি বৈকি বেড়েছে ,
শুষে নিয়ে রোগের ভার সেও আজ রুগ্ন।
অবসাদের কালিমায় অবশ অন্তর , গায়ে কালশিটে ,
সেও আজ কাঁদে সব হারানোর বেদনায়।
তারা, কুন্তি, দ্রৌপদীরা খুঁজে ফেরে আশ্রয়,
 
সতীত্বের মহাগাথার আনাচে কানাচে।
ভোর কি আদৌ হবে, প্রশ্ন কাঁঠাল পাখীর বুকে।

Saturday, January 28, 2012

অপার বাঙলার জন্যে

অপার বাঙলার জন্যে,  ছোট্ট একটি প্রয়াস,আমার তৈরি ছোট্ট একটি ভিডিও ," রেইনি ডে " গানটির সাথে।

Wednesday, January 25, 2012

ভাবনা


তুমি  নিজের রক্তে লিখে দিয়ে গিয়েছিলে,
একটি শব্দ "স্বাধীনতা ",
আমার খাতার পাতায়।
অর্থ বুঝতে অনেক দিন লেগেছিল ,
এখনও কতটুকুই বা বুঝতে পেরেছি?
প্রতি সকাল সন্ধ্যায় ,একা একা নিরালায় ভাবতে বসি , 
তোমার রক্তের বিনিময়ে,
নিয়ে আসা স্বাধীনতা কি আমার কাছে সুরক্ষিত?  
বড় বড় অট্টালিকার আড়ালে গড়ে উঠা,
ঘিঞ্জি বস্তির আবর্জনার স্তূপ থেকে ভেসে আসা,
লাওয়ারিস শিশুর অসহায় কান্না,
আমার চিন্তার প্রবাহ কে তছনছ করে দিয়ে যায়।
অনাহারে মৃত্যুর হিসেব  সংবাদপত্রের প্রথম পাতাটিকে ,
ভাগ করে নেয় কালো টাকার হিসেবের সাথে।
প্রজাতন্ত্রে প্রজার অধিকার  শীত ঘুমে,
রাজনীতির মারপ্যাছে নির্ধারিত স্থান-কাল-পাত্রের জীবন।
বুকের ভেতর পুঞ্জিভুত বেদনা ঘর বাঁধে । 
রাতের আঁধারে ভেসে উঠে তোমার অশ্রুসজল চোখ দুটো,
তুমি হয়ত ঘৃণা করছ আমার এই অপারগতাকে,
কিন্ত সত্যি বলছি, আমি এখনও হারিনি।। 
আঁধার গুহার ওপারেই নাকি আলোর বাসা,
আর আমি  সেই আলোরই সন্ধানে।।

















Wednesday, December 28, 2011

নতুন দিনের আশায়

পৃথিবী নিথর হয়ে উঠছে  জানি,
জানি আজ  আকাশে অশ্রু, বাতাসে  বিষাদ,   ।
তবু আমি  মনে প্রানে শুষে নিতে চাই ,
একফোঁটা জীবন।
একমুঠো হাসি, এক মুহূর্ত স্বপ্ন।
তাইতো আজও আকাশে চাঁদ উঠে,
 প্রজাপতিরা রঙ ছড়ায় ,ফুল ফুটে আঙিনায় ;
সেই একই আশায়।
আবার হারিয়ে যাব তেপান্তরের মাঠে,
ব্যাঙ্গমা - ব্যাঙ্গমীদের সাথে আলাপচারিতায়।
কোনও এক উদাস দুপুরে,
 পুরাতনের চিহ্ন মাত্র , বইয়ের ছেঁড়া পাতায়,
স্পষ্ট হয়ে উঠবে সরল ইতিহাস,  
হাতের রেখার আঁকা-বাঁকা পথের অন্তরালে  ।

 ছোট্ট জামায় জড়ানো  শীতের সকাল,
লাল ঝুটিতে বাঁধা রঙিন বিকেল।
 জেগে উঠবে, পুতুলের জন্মদিনের অর্থহীন উচ্ছাস।
ফিরে আসবে আবার গল্প শোনা রাত,
তারা গুনার ব্যস্ততা, নির্মেঘ আকাশ, ঘুমের গান।
রাত পোহালেই নতুন দিন, 
ঝিঁ-ঝিঁ  পোকারা  ব্যস্ত হয়ে উঠে সূর্য  বন্দনার সমবেত সুরে। 


Monday, December 19, 2011

আমার বিশ্ব একমুঠো ভাত



 

কুয়াশা ঘেরা ভোর, কুয়াশা ঘেরা মন, কুয়াশা ঘেরা স্বপ্নেরা;

সব কিছু আবছা বহুদূর,  জড়তার প্রকাশ ।
শীতের তিব্রতা ছুঁয়ে গেছে বুঝি অজ্ঞাতসারে  ,
তাইতো রক্ত  জমে হিম প্রতিটি  নাড়ীতে নাড়ীতে
নিস্তরঙ্গ , নির্বিকার , অপারগ প্রতিবাদে,
বড়ই আত্মকেন্দ্রিক , নিঃস্ব , পুতুলের প্রায়। 
পথ ভুলা পথিক না পথিক হারানো পথ এটাই বড় প্রশ্ন!!
সূর্য গ্রহনের কালিমায়, সূর্যমুখী মূক, ভাষাহীন ।
নবান্নের ধান লুকোচুরি খেলে গুদামের আঁধার গুহায়,
রুক্ষ দুপুর, ক্লান্ত বিকেল, অভুক্ত রাত;
হে মাটি মা, আমার বিশ্ব একমুঠো ভাত...।।