Blogger Widgets

Wednesday, December 28, 2011

নতুন দিনের আশায়

পৃথিবী নিথর হয়ে উঠছে  জানি,
জানি আজ  আকাশে অশ্রু, বাতাসে  বিষাদ,   ।
তবু আমি  মনে প্রানে শুষে নিতে চাই ,
একফোঁটা জীবন।
একমুঠো হাসি, এক মুহূর্ত স্বপ্ন।
তাইতো আজও আকাশে চাঁদ উঠে,
 প্রজাপতিরা রঙ ছড়ায় ,ফুল ফুটে আঙিনায় ;
সেই একই আশায়।
আবার হারিয়ে যাব তেপান্তরের মাঠে,
ব্যাঙ্গমা - ব্যাঙ্গমীদের সাথে আলাপচারিতায়।
কোনও এক উদাস দুপুরে,
 পুরাতনের চিহ্ন মাত্র , বইয়ের ছেঁড়া পাতায়,
স্পষ্ট হয়ে উঠবে সরল ইতিহাস,  
হাতের রেখার আঁকা-বাঁকা পথের অন্তরালে  ।

 ছোট্ট জামায় জড়ানো  শীতের সকাল,
লাল ঝুটিতে বাঁধা রঙিন বিকেল।
 জেগে উঠবে, পুতুলের জন্মদিনের অর্থহীন উচ্ছাস।
ফিরে আসবে আবার গল্প শোনা রাত,
তারা গুনার ব্যস্ততা, নির্মেঘ আকাশ, ঘুমের গান।
রাত পোহালেই নতুন দিন, 
ঝিঁ-ঝিঁ  পোকারা  ব্যস্ত হয়ে উঠে সূর্য  বন্দনার সমবেত সুরে। 


Monday, December 19, 2011

আমার বিশ্ব একমুঠো ভাত



 

কুয়াশা ঘেরা ভোর, কুয়াশা ঘেরা মন, কুয়াশা ঘেরা স্বপ্নেরা;

সব কিছু আবছা বহুদূর,  জড়তার প্রকাশ ।
শীতের তিব্রতা ছুঁয়ে গেছে বুঝি অজ্ঞাতসারে  ,
তাইতো রক্ত  জমে হিম প্রতিটি  নাড়ীতে নাড়ীতে
নিস্তরঙ্গ , নির্বিকার , অপারগ প্রতিবাদে,
বড়ই আত্মকেন্দ্রিক , নিঃস্ব , পুতুলের প্রায়। 
পথ ভুলা পথিক না পথিক হারানো পথ এটাই বড় প্রশ্ন!!
সূর্য গ্রহনের কালিমায়, সূর্যমুখী মূক, ভাষাহীন ।
নবান্নের ধান লুকোচুরি খেলে গুদামের আঁধার গুহায়,
রুক্ষ দুপুর, ক্লান্ত বিকেল, অভুক্ত রাত;
হে মাটি মা, আমার বিশ্ব একমুঠো ভাত...।।

Wednesday, October 19, 2011

তুমি , আমি আর নীরবতা


প্রিয় বৃষ্টি, তুমি বয়ে যাও হৃদয় জুড়ে,
মন খারাপের রাত টা যেন ধুয়ে মুছে যাচ্ছে ।
হাত বাড়িয়ে বারবার ছুতে পারছি,
তোমার শীতল অবয়ব।
ঝলসে উঠা মনে,স্বপ্নের জল তরঙ্গ ।
আমি আমি হয়ে উঠছি আবার,
অবকাশহীনতার প্রশ্ন আজ আর থাক,
প্রয়োজনের কথা ভাসিয়ে দেই অপ্রয়োজনের হাতছানি তে,
আজ শুধু তেপান্তরের রূপকথা,
তুমি , আমি আর নীরবতা।

Saturday, October 15, 2011

পরিচয়- চন্দ্রানী পুরকায়স্থ (পিংকি)


তোমার সাথে পরিচয় গড়ে উঠেনি কখনো,
অথচ ভাবখানা যেন কত দিনের পরিচয়।
মনোবীণায় হাল্কা আঘাত,
বসন্ত বাতাস বুঝি দখিনের বারান্দায়।
তুমি ঠিক যেন আকাশের চাঁদ ,
যাকে ঘিরে কল্পনার জগত।
মেয়েরা তেমনি বোকা,
ভাবে তাসের ঘর দীর্ঘ স্থায়ী।
অথবা জল দিয়ে আঁকা ছবি,
অয়েল পেইন্টিংয়ের মত ।
জানালার কাঁচে জমে থাকা ময়লা,
যখন একদিন কালবৈশাখী ঝড় শেষে  ,
ধুয়ে-মুছে যায় জানালার গরাদ বেয়ে,
তখনই ঘটে পরিচয়।
পরিচয় টা তোমার সাথে কখনো ই গড়ে উঠেনি;
পরিচয় ঘটেছিল সেলুলয়েডের পর্দায়,
তোমার চেহারায় লেগে থাকা মুখশের সাথে,
সারা গায়ে মিথ্যার অলঙ্কার।

Tuesday, October 11, 2011

অপেক্ষা- পিংকি পুরকায়স্থ (চন্দ্রানী)




এসো মা লক্ষ্মী বসো ঘরে,
 গেয়ে উঠে মালবিকারা,
সন্ধ্যা প্রদীপ হাতে।
কোজাগরী  চাঁদের মুখ হাল্কা ধুঁয়াসা ,
দুই ফোঁটা অশ্রুবিন্দু  গাল বেয়ে ঝরে পড়ে।
পাটের  শীষে লাল শিশির,
চমকে উঠছ যে,
এ তো রক্তের আল্পনা ।
রক্ত, রক্ত আর রক্ত,
মা, তোমার কৃষক ছেলের,

রক্তের অঞ্জলি।
অভুক্ত শিশুর দল, একটুকরো রুটির অপেক্ষায় ,
সবুজ ডোবার জল আজ ক্ষীর সাগর।

Monday, September 26, 2011

ফিরে এসো এবার-চন্দ্রানী পুরকায়স্থ (পিংকি )



  কাশ ফুলেরা দোলে দোলে কি যেন বলে চলে,
শারদলক্ষ্মী শুনতে কি পাও?
বন দেবীর দ্বারে দ্বারে,
শঙ্খ ধ্বনির গভীর স্বর।
তোমাকে খুঁজে বেড়ায় পথ শিশুর দল ।
খুঁজে বেড়ায় সেই অবুঝ করুণ চোখ ,
যার পিতা মাতা সন্ত্রাসবাদের শিকার।
রক্ত মাখানো রাজপথে ,
শকুনের সমবেত উৎসব।
আসুরিকতা যে আজ চরমে।
কোথায় রয়েছ জগত জননী,
ফিরে এসো এবার।
বিষ বাষ্পে মুমূর্ষু ধরনী, খুঁজে চলে তোমায় ।
খুঁজে চলে সত্যেন্দ্রের দল, সততাই যাদের শত্রু,
মৃত্যুর কারন।
কোথায় রয়েছ মঙ্গলময়ী , ফিরে এসো এবার।
চোখের কোনে কালো মেঘ নিয়ে,
খুঁজে চলে তোমায় নীরদারা।
যাদের মানসম্মান ভূলুণ্ঠিত ,
রক্ত পিপাসুদের অট্টহাসিতে।
অর্ধদগ্ধ অবস্থায় ,
বিছানায় শুয়ে শুয়ে ক্যালেন্ডারের পাতায় চোখ রেখে,
খুঁজে চলে তোমায়, পণ প্রথার বলি অনন্যারা।
কোথায় রয়েছ দনুজদলনী,
ফিরে এসো এবার।
ফিরে এসো এবার মর্তলোকে,
আর বসে থেকো না গিরির অপেক্ষায়,
গিরি- মেনকারা ও যে আজ আশ্রয়হীন,
নাম লিখা হয়ে গেছে কবে ,
  বৃদ্ধাশ্রমের সেই আবাসিকদের ঠিকানায়।
সেই স্নেহময়-স্নেহময়ীদের চোখ খুঁজে চলে তোমায়,
কোথায় রয়েছ কল্যানী, ফিরে এসো এবার ।

চিঠি- চন্দ্রানী পুরকায়স্থ (পিংকি )


আজ সকালে তোমার চিঠি পেলুম ,
কমলা রঙের খামে জড়ানো ,
সাদা চিঠি, একফোঁটা শিউলি গন্ধ মেশানো।
কত কাল হলো , চিঠির দিন বদলে গেছে,
তবু তুমি ঠিক তেমনি আছ স্নেহময়ী ।
প্রতি মহালয়ায় সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ,
সামনের খোলা মাঠে এসে দাঁড়াই ।
চিঠির অপেক্ষায় ।
মেঘ পিয়ন তার হাল্কা সাদা ঝুলি থেকে,
তুলে দেয় তোমার স্নেহমাখানো চিঠি।
শিশির ভেজা প্রতিটি অক্ষর,
 স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতরো হয়ে উঠে।
মনে বার বার প্রতিধ্বনিত হয় ,
“আমি আসছি”
তোমার নিজ হাতে লিখে রাখা,
প্রতিশ্রুতির শব্দ দুটি ।