Thursday, June 30, 2011
Tuesday, June 14, 2011
dusk
সন্ধ্যা
পিংকি পুরকায়স্থ (চন্দ্রানী)
রূপকথা মেশানো সন্ধ্যায়,
আলোছায়া কবিতা লিখে দিগন্তের ওপারে।
ঘাঁস ফড়িঙের পাখায় পাখায়,
সন্ধ্যার অবকাশের চিহ্ন।
মন্দিরের ঘণ্টাধ্বনি, ধূপ-ধুনোর সুগন্ধ,
কালিদাসের মহাকাল মন্দিরের পথ বেয়ে,
বরাকের আঙিনায়।
মালবিকারা তুলসী তলায়,
মমতার মাধুরীতে সিক্ত মাটির প্রদীপ হাতে।
আঁধারের গায়ে গায়ে , মিটমিটে আলোর রেখা ,
মোহনীয় ছবি এঁকে যায়।।
ode to deity of love
দেখেছি তোমায়
পিংকি পুরকায়স্থ (চন্দ্রানী)
তোমায় দেখেছি ইতিহাসের পাতায় পাতায়,
কখনও কৈলাশে তো কখনও সুদুর আরবে।
কখনও রাজার অট্টালিকায়;তো কখনও ঋষির কুটীরে,
সারা জগত জুড়ে দেখেছি তোমায়।।
মানুষ নয় শুধু পশু-পাখী কীট-পতঙ্গদের সমাজে ও...
তুমি নাকি অনঙ্গ, প্রেমের দেবতা,
শিবের তৃতীয় নয়নবহ্নি তে ভস্মীভূত,
দেখেছি তোমায় ষোড়শী কিশোরীর
সলজ্জ হাসিতে,
বীর পুরুষের দুচোখে ,প্রেমের যুদ্ধে
দেখেছি সয়ম্বর সভায়।।
দেখেছি তোমার ছায়া তাজমহলের স্ফটিকস্তম্ভের গায়ে গায়ে,
বৃন্দাবনের তমাল ছায়ে; দেখেছি মীরার অশ্রুজলে,
প্রেয়সী রাধিকার বিরহদশায়,
দেখেছি তোমায়।।
দেখেছি ব্যাভিচারের কলঙ্কে, দেখেছি পবিত্র প্রেমের উজ্জ্বলশিখায়,
দেখেছি প্রিয়, দেখেছি তোমায়...
Sunday, June 12, 2011
celebrity
সেলিব্রিটি
পিংকি পুরকায়স্থ(চন্দ্রানী)
হাইটেক জীবনে অভ্যস্ত তুমি,
মিডিয়ার ভাষায় হার্টথ্রব,
দেয়ালে দেয়ালে তো্মার রঙিন ছবি,
কত ষোড়শী কিশো্রীর স্বপ্ন তোমাকে ঘিরে।
কত কত পাঠ্যবইয়ের পাতায়,
লুকিয়ে থাকো এক মুহূর্তের স্বস্তির হাওয়া হয়ে।
কত খাতার মলাট তোমার ছবিতে ভরাট হয়ে উঠে।
গুগলের পাতায় পাতায় তোমার খোঁজ পড়ে প্রতিদিন,
প্রতিদিন ফেসবুকের পাতায় চলে তোমার সন্ধান।
এক মুহূর্তের দর্শনাশায় ,
হাজার লোকের ভিড় উপছে পড়ে।
একটি অটোগ্রাফের লোভে,
পুলিশের লাঠির আঘাতে ও নির্বিকার।
কত ভালোবাসা তোমার জন্যে।
কিন্ত তবুও অবকাশ মুহূর্তে তোমার দুচোখে,
খুঁজে পাই ব্যাকুলতার সাগর,
গোধূলির অস্তগামী সূর্যের চেয়েও করুণ।
তোমার দীর্ঘনিশ্বাস চারদিকের আবহাওয়া কে করে তুলে নিথর।
তোমার কথার পঙক্তিতে পঙক্তিতে খোঁজে পাই,
জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণা ,
থকথকে আঘাতের চিহ্ন হৃদয় জুড়ে।
চারিদিকে জনতার ভিড় তোমাকে ঘিরে,
তবু অন্ধকারের প্রতি ভয়,
নিজের ছায়াকে দেখে নিজেই আৎকে উঠো।
একবিন্দু মমতা মাখানো একটি মন কি খুঁজে পাওনা,
হাজার জনতার ভিড়ে,
যে তোমার পরিচয় কে নয়,
শুধু তোমাকেই আপন করে নিতে পারে।
যে ঝিনুকের আবরনে লুকিয়ে থাকা,
আমুল্য মুক্তোটিকে কুড়িয়ে নিতে পারে,
তাই বুঝি সেলিব্রিটির তকমা ছুঁড়ে ফেলে ছুটে বেড়াতে চাও,
গ্রামের মেঠো পথ ধরে,
কখনও বা ফিরে যেতে চাও শৈশবের সেই দুপুরগুলোতে,
মায়ের স্নিগ্ধ আঁচল ছায়ে, পিতার স্নেহের শাসনে,
কিন্ত সেই দিনগুলো আর ফিরে আসে না জীবনে।
নিজের কাছে পরাজিত হও বার বার,
তবু এগিয়ে যাও ব্যথাসিক্ত মনটাকে শাসন করে,
সোনার মন্দিরে পাথরের দেবতার মতন,
সেলিব্রিটির তকমা নিয়ে।।
Subscribe to:
Posts (Atom)